প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞায় (ফেনী) ৪ নং রামনগর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড, সেকান্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আলতু সেরাং বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজ শেষে অবশিষ্ট অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্নসাতের অভিযোগ ৪ নং রামনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত মেম্বার দাগনভূঞা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
উক্ত বিষয়ে গত ২৬,০৭,২০২৫ ইং তারিখে স্থানীয় বাসিন্দা সাবেক রেলওয়ে কর্মকর্তা মজিবুল হক বাদী হয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের দূর্নীতির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহনে দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে মজিবুল হক উল্লেখ করেন, সেকান্দর পুর ৮ নং ওয়ার্ডের প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে আলতু সেরাং বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের জন্য উপজেলা পিআইও অফিস থেকে দুই কিস্তিতে মোট ২ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।
কাজ সমাপ্ত হওয়ার পর সকল ক্রয় ও খরচের বিবরন অনুযায়ী উক্ত প্রকল্পে মোট ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৭৫ টাকা ব্যায় হয়। অবশিষ্ট ৫১ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা না দিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট ভাউচার দেখিয়ে পুরো টাকা ব্যায় হয়েছে মর্মে অবশিষ্ট টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে, ক্রয় ও খরচের ভাউচার অনুযায়ী এবং কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের তথ্য মোতাবেক কার্য সম্পাদন কারী সাইফুল ইসলামের দেয়া হিসাবে গড়মিল পাওয়া গেছে। তার দেয়া হিসাবে কিছু বাড়তি ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যার অংক প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
এই বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মেম্বার সাইফুল ইসলাম বলেন, যারা কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল তারা সকলে মিথ্যা বলছে, আমার হিসাবে পুরো টাকাই প্রকল্পে খরচ হয়েছে, আমি হিসা
বে কোন গড়মিল বা অর্থ আত্মসাৎ করিনি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স. ম আজহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাইফুল ইসলামের দূর্নীতি বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং এলজিডি সংশ্লিষ্ট ৩ জনের একটি কমিটি কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।